সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:৪০ অপরাহ্ন

৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে হাজারে মারা যায় ৩১ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রতি হাজারে ৩১ শিশু মারা যায় বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে বলা হয়, ধারাবাহিক তিন বছরের গড় অনুযায়ী ৫ বছরের নিচে জীবিত শিশু জন্মের পর মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৩ জন থেকে ৩১ জনে নেমে এসেছে।

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (নিপোর্ট) পরিচালিত বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০২২ (বিডিএইচএস) এর প্রাথমিক ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা ফলাফলটি মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ব্লুয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়।

এছাড়া ২০২২ সালে এক বছরের কম বয়সের শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৫ জন। এক মাসের কম বয়সের শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২০ জন। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে অর্থাৎ সঠিক বৃদ্ধি ঘটছে না-এ হার ৩১ থেকে ২৪ শতাংশে নেমে এলেও কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন হয়নি।

জরিপে বলা হয়, বিগত যে কোনো সময়ের তুলনায় দরিদ্র নারীদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী নারীদের ক্ষেত্রে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তুলনায় ধনীদের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহণের মাত্রা ছয় গুণ বেশি ছিল। ২০২২ সালে দরিদ্রদের তুলনায় ধনীদের সেবা গ্রহণ দ্বিগুণে নেমে এসেছে।

আরও বলা হয়েছে, ৮৮ শতাংশ নারী অন্তত একবার একজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীর থেকে গর্ভকালীন বা এএনসি সেবা গ্রহণ করেছেন। যা ২০১৭ সালে ছিল ৮২ শতাংশ। কিন্তু কোভিড চলাকালীন চারবারের বেশি গর্ভকালীন সেবা বা এএনসি গ্রহণ করেছেন এ সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৪১ শতাংশে নেমে এসেছিল।

জন্মবিরতিকরণ সামগ্রী ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখ করে জরিপে বলা হয়েছে, জন্মবিরতিকরণ সামগ্রী ব্যবহারের হার বিগত সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৩ বেড়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে।

২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, মহিলা প্রতি সন্তানের সংখ্যা ২ দশমিক ৩ জন। তবে, কিশোরী বয়সেই সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্রা বিগত বছরগুলোর তুলনায় কমেছে। ২০১৭ সালে এ মাত্রা ছিল ২৮ শতাংশ, ২০২২ এ এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশে। অল্প বয়সে বিয়ের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ২০ থেকে ২৪ বছরের নারীদের মধ্যে ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়ার মাত্রা ২০১১ সালে ছিল ৬৫ শতাংশ, ২০১৭ -তে তা কমে দাঁড়ায় ৫৯ শতাংশে এবং ২০২২ সালে তা ৫০ শতাংশে নেমে আসে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি), ইউএসএইড বাংলাদেশের পপুলেশন, হেল অ্যান্ড নিউট্রিশন পরিচালক মিজ ক্যারি রাসমুসেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নিপোর্ট মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335